Logo
Logo
×

জাতীয়

সিপিডির সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী ও আমির খসরুর পালটাপালটি বক্তব্যে উত্তাপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

সিপিডির সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী ও আমির খসরুর পালটাপালটি বক্তব্যে উত্তাপ

সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পালটাপালটি বক্তব্যে রোববার সিপিডির বাজেট সংলাপে উত্তাপ ছড়িয়েছে। 

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন মানেই ভোট চুরির প্রকল্প। এর কাজ হলো ৪০ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দেওয়া। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে গ্রেফতার করা। ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করা। এসব ক্ষেত্রে প্রকল্পটি সফল। 

তিনি বলেন, বাজেট তো জনগণের জন্য দিতে হয়। এখন বাজেট কারা দিচ্ছে, কী দিচ্ছে সেটি বড় বিষয়। অনির্বাচিত সরকার বাজেট দেওয়ায় জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। 

এর জবাবে এমএ মান্নান সিপিডির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি অনির্বাচিত সরকার? যদি তাই হয় তাহলে আমাকে কেন এখানে দাওয়াত দেওয়া হলো। যারা অসত্য কথা বলে অপমান করতে চায় তাদের বিষয়েও কথা বলতে হবে। আমরা যদি আইনভঙ্গ করি তাহলে কোর্টে যান, জনগণের আদালতে যান। তা না করে বকাঝকা করবেন না। চিৎকার করে ১ হাজার লোককে রাস্তায় নামাতে পারেননি। কালকে হরতাল ডাকুন, কয়টা লোক রাস্তায় নামে দেখুন।

তিনি বলেন, সামাজিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নতি সম্ভব নয়। মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ায় থাকলে ভালো লাগে, লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরে ৪০ বছর ক্ষমতায় থাকলে ভালো লাগে। কিন্তু শেখ হাসিনা ১০ বছর থাকলে দেখতে ভালো লাগে না। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রাশেদ খান মেননসহ যারা যারা খেলতে চান মাঠে নামুন। গ্যালারিতে বসে খেলতে পারবেন না। 

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এ বাজেট সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমির খসরু এবং জাতীয় পার্টির সংসদ-সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। 

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এজেন্ট (ব্রোকার) আছে। এজেন্ট খারাপ কিছু নয়। এনবিআরের এজেন্ট নিয়োগের কথা শুনে খারাপ ভাবার কারণ নেই। নতুন কিছু দেখলে আমরা লাফ দিয়ে উঠি। এটা ঠিক নয়। 

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দেশের ভেতর সবখানে আছে। তবে দেশে নিম্ন আয়ে থাকা ৩০ শতাংশ গরিব মানুষকে সহযোগিতা দিতে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা তাদের নিয়েই। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী বাজেটে অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) দরকার নেই। 

আমির খসরু বলেন, অবৈধ আয় করে টাকা পাচার করা হচ্ছে। আবার সেই টাকা তাদের ফেরত আনতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সামান্য কর দিয়ে টাকা ফেরতের সুযোগ দিলেও কেউ সেটি আনেনি। কিন্তু ভিসানীতির ঘোষণায় তারা আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আকারে টাকা পাঠাচ্ছে। এক্ষেত্রে কর তো দিলই না, উলটো আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পেল। 

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চুরি বন্ধ করতে হবে। জ্বালানি খাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা চুরির জন্যই দেওয়া হচ্ছে। বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের জন্য কোনো উদ্যোগ নেই। বাজেটে জাতীয় সংসদ-সদস্যদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। বাইরে থেকে মনে করা হয় অনেক কিছুই। আপনারা যখন বলেন আমরাও খুশি হই। কিন্তু বাজেট প্রণয়নে অনেক মন্ত্রীরই ভূমিকা থাকে না। আইএমএফ এখন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছে, গত ১০ বছরে সংসদ-সদস্য, সুশীল সমাজ এবং এনজিওসহ সবাই একই প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। কিন্তু সরকার সেটি শোনেনি। এখন আইএমএফের শর্তে বাধ্য হয়েই সরকার সেসব মেনে নিচ্ছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম