দুই শিশুর মৃত্যু: পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডি রিমান্ডে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পোকা মারার বালাইনাশকের বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান ও এমডি ফরহাদুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রণপ কুমার ভক্ত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন আসামিদের আইনজীবী হাসনাইন তালুকদার সুজন। আসামিদের আইনজীবী বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের দায় এ ঘটনায় থাকবে কেন? তারা তো এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন না। তারা কিভাবে আসামি হন? পরে গ্রেফতার দুজনের বক্তব্য জানতে চান বিচারক। এ সময় তারা নিরুত্তর থাকেন। এরপর বিচারক তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নতুন বাসার পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য বারিধারার ‘ডিসিএস অরগানাইজেশন লিমিটেড’ পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বাসাটির মালিক ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন। ওই কোম্পানির কর্মীরা ২ জুন বাসায় বালাইনাশক দিয়ে যান। বাসায় ওঠার পর ওই পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৪ জুন সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মোবারক হোসেনের ৯ বছর বয়সি ছেলে শাহিল মোবারত জায়ান। পরে রাতে মারা যায় তার ভাই ১৫ বছর বয়সি শায়েন মোবারত জাহিন। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা করেন দুই শিশুর বাবা মোবারক হোসেন। সেই মামলায় ৫ জুন রাতে ডিসিএসকর্মী টিটু মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং এমডি ফরহাদুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।