
প্রিন্ট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
র্যাব হেফাজতে মৃত্যু: জেসমিনের ভাই-ছেলের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ১১:৫২ এএম

আরও পড়ুন
র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁয় ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল।
সোমবার বিকালে তারা জেসমিনের ছেলে, ভাই, মামা ও বাড়িওয়ালাসহ দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তদন্ত দল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
গত ২২ মার্চ নওগাঁর মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে (৪০) র্যাব আটক করে। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তদন্ত দলের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সার্কিট হাউস চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমুল হক ও তার ভাই সুলতান মাহমুদ।
তদন্ত দলের সদস্যদের মধ্যে নওগাঁর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা আবু শামীম আজাদ, মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ইমতিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, সিভিল সার্জন আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানকে সার্কিট হাউসে ঢুকতে দেখা গেছে।
রাতে তদন্ত দলের সদস্য নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম বলেন, আপাতত তদন্ত নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হচ্ছে না। আগামীকাল রাজশাহী এবং পরশু নওগাঁয় আরো তদন্ত করা হবে।
সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমুল হক বলেন, গত ২২ মার্চ নওগাঁর মুক্তির মোড় থেকে জেসমিনকে র্যাব সদস্যরা আটকের পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া এবং দাফন কার্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন কী কী ঘটেছে তার বর্ণনা আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন।
এছাড়া জেসমিনের বাসা থেকে জেসমিন ও জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসের যুগ্ম সচিব এনামুল হকের মধ্যকার বিভিন্ন অংকের টাকা লেনদেনের কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। সেগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার ধারণা এসব কাগজপত্র উদ্ধারের জন্যই আমার ভাগ্নিকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে যে তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে তাতে আশা করা যায় তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করবেন এবং বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।