চাকরি পেয়েছেন সার্টিফিকেট পোড়ানো সেই মুক্তা, বেতন কত?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চাকরি না পেয়ে ক্ষোভে নিজের সব সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন ইডেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মুক্তা সুলতানা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সার্টিফিকেট পোড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ডেকে পাঠান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
কষ্ট আর ক্ষোভের কথা শুনে মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন মুক্তার। সোমবার আগারগাঁওয়ে মুক্তা সুলতানার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত ছয় মাসের জন্য মুক্তা সুলতানার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বাস করি, সে ছয় মাসের আগেই নিজের একটা জায়গা তৈরি করে ফেলতে পারবে।
চাকরি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানান কিশোরগঞ্জের মেয়ে মুক্তা।
জানা গেছে, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ১ লাখ তরুণদের কর্মসংস্থান করার যে প্রকল্প তাতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে তার চাকরি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ইডেন কলেজের সামনে এসে ফেসবুকে লাইভে থেকে নিজের সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মুক্তা সুলতানা। চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় এই শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না দাবি করে পুড়িয়ে দেন তিনি।
লাইভের ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সার্টিফিকেট পোড়াচ্ছেন। এর আগে তিনি দেখান, তার স্নাতক পরীক্ষা ২০১৩ সালে এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৫ সালে তার পরীক্ষা হলেও ২০১৯ সালে তার সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়েও তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছর কোথাও আবেদন করতে পারেননি। এদিকে চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার আবেদনের সময়ের চার বছর কাজে লাগাতে পারেননি। এর আগে সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০-৩৫ করার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন মুক্তা।