সুলতানা জেসমিনের সেই ফুটেজ ভাইরাল, যা জানা গেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী সুলতানা জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়ার মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, সামনে এসেছে কিছু প্রশ্নও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ফুটেজে সুলতানা জেসমিনের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল-এমন আশঙ্কার কথা বলছেন অনেকেই।
ফুটেজে দেখা যায়, র্যাবের দুজন নারী সদস্য গাড়ি থেকে নামিয়ে জেসমিনকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু জেসমিন হাঁটতে পারছিলেন না। বারবার ঢলে পড়ে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালের ভেতরে নেওয়ার পর একটি বেঞ্চে ঢলে পড়েন জেসমিন। এ সময় তার শরীর এবং মাথা এলিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে পাহারায় রয়েছেন র্যাবের নারী সদস্যরা। তারা বেঞ্চ থেকে তুলে জেসমিনকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এমনকি তাকে হাসপাতালের ট্রলিতে তুলতে চাইলেও নিস্তেজ হয়ে পড়ায় তাতেও তুলতে পারছেন না।
ফুটেজের দৃশ্য অনুযায়ী, অনেকটা নিস্তেজ অবস্থায় সুলতানা জেসমিনকে লম্বা করে ট্রলিতে শুইয়ে নিয়ে ওখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ শনিবার যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্তাধীন বিষয়ে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থেই ঘটনার পরপর ১১ র্যাব সদস্যকে পত্যাহার করা হয়। তারা এখন র্যাব সদর দপ্তরে ন্যস্ত আছেন।
সুলতানা জেসমিনকে র্যাবের গাড়ি থেকে নামানোর পর তার শারীরিক অবস্থার যে দৃশ্য (ভিডিও) ভাইরাল হয়েছে, সে বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই তদন্তকাজ চলছে।
২২ মার্চ সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে রাজশাহী র্যাব-৫-এর একটি দল মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সুলতানা জেসমিনকে (৪৫) আটক করে। পরে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।