বৈষম্য এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়: পরিকল্পনামন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম
ফাইল ছবি
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আগে মানুষ এত গরিব ছিল যে তখন বৈষম্য নিয়ে চিন্তা ছিল না। একবেলা খেয়ে অন্যবেলায় খেয়েছে কিনা সেটি বড় কথা ছিল। এখন সবাই তিনবেলা খেতে পারে। এ কারণে বৈষম্য নিয়ে কথা আসছে। বৈষম্য এখন আলোচনার অন্যতম বিষয়।
রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বুধবার বিআইডিএস আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের (বিআইডিএস রিসার্স অ্যালামনাক-২০২৩) প্রথম দিন এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটির মহাপচিালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার। প্রথম দিনে প্রায় ১০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা সম্পদ সৃষ্টি করতে চাই। ভাত, মাছ, মাংস, ডিমের মতো সম্পদ গড়তে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সম্পদ যখন সৃষ্টি হয় তখন বৈষম্য দেখা দেয়। কারণ কেউ মেধার গুণে বা যোগ্যতার ভিত্তিতে বেশি সম্পদ সৃষ্টি করে। কেউ পিছিয়ে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সমতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। যাতে সবাই সমান সুযোগ পায়। সামাজিক নিরাপত্তার মতো কর্মসূচি বাড়িয়ে বৈষম্যের ব্যথা কিছুটা কমার বা সহনীয় পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন এ দেশে গ্রাম শহর এক হয়ে গেছে। আলাদা করে গ্রাম ও শহরের সবকিছু হিসাব করার দরকার নেই। সব কিছু ক্ষেত্রেই একটি হিসাবই যথেষ্ট।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, করোনার সময় দরিদ্রতা বেড়ে ছিল এটা ঠিক। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা এবং উদ্যোগে নিয়ন্ত্রণ কমানো সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে করোনার সময়ে বিভিন্ন উৎপাদমুখী শিল্পকারখানা বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব পড়েনি।