চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার চতুর্থ দিনে ছিল ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে ছিল ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা।
মাদ্রাসায় দাখিলে গণিত আর কারিগরি বোর্ডে এসএসসি-দাখিল ভোকেশনালে ইংরেজি-২ বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। তুলনামূলক কঠিন হিসাবে চিহ্নিত এই পরীক্ষায় এদিন রেকর্ড ১৩০ জন বহিষ্কৃত হয়েছে। আর পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যাও ছিল চলতি বছরে বাকি তিন দিনের পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসএসসিতে ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন ১৮ হাজার ৬০৬ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এক দিনে রেকর্ড ৯৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ৩৬ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার ও ১৭ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে কারিগরি বোর্ডের ৯ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে চার হাজার ৮৫০ জন, রাজশাহী বোর্ডে এক হাজার ৮২৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে দুই হাজার ৩৪২ জন, যশোর বোর্ডে দুই হাজার ২৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে এক হাজার ৯৫৮ জন, সিলেট বোর্ডে এক হাজার ১৫০ জন, বরিশাল বোর্ডে এক হাজার ১৯৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে দুই হাজার ১৪৪ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে এক হাজার ১১২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
বহিষ্কৃত ৯৪ জনের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১৭ জন, চট্টগ্রামে দুজন, বরিশালে ১৬ জন, সিলেটে একজন, দিনাজপুরে ১২ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩২ পরীক্ষার্থী রয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে চতুর্থ দিনের পরীক্ষায় মোট অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ৮৭০ জন। আর বহিষ্কার হয় ২৭ পরীক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষায় অনুপস্থিত তিন হাজার ৩৮৯ জন এবং বহিষ্কার ৯ জন।
৩০ এপ্রিল এই পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৩১ হাজার ৪৪৭ পরীক্ষার্থী। বহিষ্কার হয় ২০ শিক্ষার্থী।
দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ৩২ হাজার ৩৫৬ জন এবং বহিষ্কার হয় ৩৮ জন শিক্ষার্থী। তৃতীয় দিন চার পরীক্ষকসহ ৬৫ জন বহিষ্কার ও অনুপস্থিত ছিল ১৮ হাজার ১৮১ জন পরীক্ষার্থী।