জাহানারা ইমামকে সর্বাগ্রে চেনা ও জানা প্রয়োজন
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ০৯:৫৭ পিএম
জাহানারা ইমাম নেই কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার স্নেহধারায় সিক্ত হয়ে চলবে। তবে সেজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন তাকে চেনা ও জানা। তার গ্রন্থ ও তার জীবন সেই দীক্ষা দিতে পারে সবাইকে।
শহিদ জননী শিক্ষাবিদ জাহানারা ইমাম স্মরণে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা তাকে এভাবেই স্মরণ করেন। শহিদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণে বাংলা একাডেমিতে বুধবার সকালে কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘জাহানারা ইমামের প্রবহমান লড়াই: যুদ্ধস্মৃতির উদ্ভাসন ও গণহত্যাকারীদের বিচার’ শীর্ষক একক বক্তৃতা দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক, বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী। অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাফরিজা শ্যামা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, জাহানারা ইমাম বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক। জাতির ঐতিহাসিক এক মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধবিরোধী গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
মফিদুল হক বলেন, জাহানারা ইমামের জীবন-কর্ম বহুভাবে বিচার করা যায়। তার শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কথা বলার থাকে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সাহসিক ভূমিকা পালন করেছেন, নিজের ছেলেকে এগিয়ে দিয়েছেন যুদ্ধের পথে মৃত্যুর ঝুঁকিময় অভিযাত্রায়, যুদ্ধে শহিদ ছেলে হারিয়ে যাওয়ার দুর্ভার বেদনা বহন করে লিখেছেন যুদ্ধদিনের অভিজ্ঞতার অসাধারণ বয়ান ‘একাত্তরের দিনগুলি’। যে-গ্রন্থ তাকে এমন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে, যা একান্ত তুলনাহীন।
মফিদুল বলেন, আমাদের প্রজন্মের সৌভাগ্য, আমরা তাকে কাছে থেকে দেখেছি, তার স্নেহধারায় সিক্ত হয়েছি।
রূপা চক্রবর্তী বলেন, জাহানারা ইমাম সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
নাফরিজা শ্যামা বলেন, শহিদ জননী জাহানারা ইমামের চিন্তা ও আদর্শের আভায় আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, শহিদ জননী জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের ইতিহাসে তার ঐতিহাসিক যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনের জন্য যুগের পর যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।