প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঈদের আমেজ কাটেনি। পুরোপুরি জমে ওঠেনি সরকারি অফিস। টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে সোমবার সচিবালয়ে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আসেননি। তারা পাঁচদিনের সরকারি ছুটির সঙ্গে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে গ্রামে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
সচিবালয়ে অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, উপস্থিতির সংখ্যা ৫০ শতাংশের নিচে। তবে ছুটি ছাড়া কেউ অনুপস্থিত নেই বলে জানান উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তারা জানান, ঈদুল ফিতরে যারা ছুটিতে গেছেন তারা ঈদুল আজহায় ছুটি পাবেন না। এছাড়া নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা বঙ্গভবনে যাওয়ায় উপস্থিতি ছিল অনেক কম।
সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলেছেন, সচিবালয়ে উপস্থিতি স্বাভাবিক হতে আগামী সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। এ দিন আবার অনেককে দেরি করেও অফিসে আসতে দেখা গেছে। তারা গ্রাম থেকে সরাসরি এসে অফিস করছেন। সচিবালয়ে চার ও পাঁচ নম্বর ভবনের মাঝামাঝি গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানটি অনেকটাই ফাঁকা পড়ে আছে। লিফটগুলোর সামনেও ভিড় নেই।
ঈদ-পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
রমজানে পরিবর্তিত অফিস সূচি ঈদের ছুটি শেষে আবার সোমবার থেকে আগের সময়ে ফিরেছে। অর্থাৎ সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে ১১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।