বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা হস্তান্তর বিদ্যানন্দের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৫ পিএম
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ ব্যবসায়ীকে নগদ এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। বুধবার ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বিদ্যানন্দের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ, বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যানন্দের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আগেও ছিল। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে দেখে আমরাও এগিয়ে এসেছি। মানুষের আস্থার পাশাপাশি প্রশাসনও খুশি বেসরকারি এ সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পেরে।
জেলা প্রশাসনের সহায়তা ও সমন্বয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। ঈদ সামনে রেখে তথ্য ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঈদের আগেই এ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দানশীল মানুষ ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। সেই অর্থ আজকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তুলে দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বিদ্যানন্দের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছর বিএম ডিপোতে দেশের ইতিহাসে বড় অগ্নিকাণ্ডের পর বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন স্বঃপ্রণোদিত হয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিল।
একইভাবে করোনার সময় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন হিসাবে তারা চমৎকার কাজ করেছে। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডকে ‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’ হিসাবে বর্ণনা করে জেলা প্রশাসক বলেন, অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ঘোষণা করা ঢাকার সাতটি মার্কেটের মধ্যে বঙ্গবাজারও ছিল। আপনারা পরে দেখেছেন, বঙ্গবাজারে যে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, সেটি নেভানোর জন্য পানির উৎস, যে রাস্তাগুলো ব্যবহার করে অগ্নিনির্বাপকরা ঢুকবেন, অগ্নিনির্বাপণ করবেন, সেই রকম পর্যাপ্ত স্পেসও ছিল না। যার কারণে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে।
এ সময় ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, আমরা চাই না, বঙ্গবাজারটি আগে যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থায় আর ফিরে যাক।
বিদ্যানন্দের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ বলেন, বিদ্যানন্দের অনলাইন ক্যাম্পেইনে প্রায় দুই কোটি টাকা অনুদান মিলেছে। এর প্রথম ধাপে এক কোটি টাকা হস্তান্তর করা হলো। ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ জন ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে নগদ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান কর্মচারীদের অবশিষ্ট নগদ এক কোটি টাকা হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।’