
প্রিন্ট: ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ এএম
আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন চারজন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৫ পিএম

আরও পড়ুন
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরও চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার নিহত মামুনের বোন রওশনারা, ভগিনীপতি মোশাররফ হোসেন খান, বনানীর যে বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়েছিল সেই বাড়ির নিরাপত্তার রক্ষী মিরাজুল ইসলাম ও মানিক সাক্ষ্য দেন।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের সাক্ষীদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। পরে আদালত আগামী ২ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
গত ২১ মার্চ মামলার বাদী মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলো।
সাক্ষ্য গ্রহণের সময় কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাতে রাজধানীর বনানী মডেল থানার একটি বাড়ির দোতলায় খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রায়দিয়া রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের আওতায় আসা কিশোরী মেহেরুন্নিসা স্বর্ণা ও ফারিয়া বিনতে মিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এ অভিযোগপত্রটি পাঠানো হয়।
রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। সম্প্রতি অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।