জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী দেশে পুরুষের চেয়ে ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮২ জন নারী বেশি। সমন্বয় করা মোট জনসংখ্যায় পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন।
রোববার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সভাকক্ষে পিইসি (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) জরিপের আলোকে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা প্রকাশ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।
পিইসি জরিপ অনুসারে, পুরুষের এনসিই ২.৮১ শতাংশ, সে হিসাবে সমন্বয়কৃত পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন; নারীর এনসিই ২.৬৯ শতাংশ, সে হিসাবে সমন্বয়কৃত নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার এনসিই হিসাব করা হয়নি।
দেশে মুসলিম জনসংখ্যা ১৫ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৮ জন থেকে বেড়ে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪২ হাজার ৭৮ জন হয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫১১ জন থেকে বেড়ে ১ কোটি ৫২ লাখ ৮৭৬ জন। যা মোট জনসংখ্যার ৮.৯৫ শতাংশ। এছাড়া ব্যালান্স পপুলেশন ৮৫ হাজার ৯৫৭ জন। যা মোট জনসংখ্যার ০.০৫ শতাংশ।দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন। হিজড়া জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার শতাংশ হিসাব করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ঢাকার সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা বিভাগভিত্তিক সবচেয়ে বেশি। এটি দেশের সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৮৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ।