‘সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
দেশে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া, ডিএপিসহ মোট ১১ ধরনের ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে সারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার কৃষিমন্ত্রণালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে সারের প্রকৃত চাহিদা আরেকটু বেশি ছিল। আমরা হিসাব করে একটু কমিয়ে ধরেছি।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, আগামী অর্থবছরের জন্য ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, ৭ লাখ ৫০ হাজার টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমএপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, ৫ লাখ ৫০ হাজার টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালফেট, দুই হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, ৫০ হাজার টন বোরন সারের চাহিদা ঠিক করা হয়েছে।
ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে ‘বিসিআইসি’র এখন যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা গেলে চাহিদার প্রায় পুরোটাই দেশে উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক্ষেত্রে গ্যাসের দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে যা আছে সেই দামে কিনলেও দেশে সার উৎপাদন লাভজনক হবে। আমরা চাইছি, অন্তত ইউরিয়া সার যেন চাহিদার পুরোটাই দেশে উৎপাদন করা যায়।
চলতি অর্থবছরে সারে কতটা ভর্তুকি দিতে হবে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, বছর শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, আরও ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার অপেক্ষায়। বছর শেষে বলা যাবে আসলে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।