Logo
Logo
×

জাতীয়

শিশু মৃত্যুহার ২৪ ভাগ কমায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২১ পিএম

শিশু মৃত্যুহার ২৪ ভাগ কমায় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধে ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপসুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। 

এ ক্যাপসুল সেবনে হাম, ফাইলেরিয়ার মতো অসুখ হয় না। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৪ থেকে ৫ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শূন্য দশমিক ১ ভাগে নেমে এসেছে।

সোমবার মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। সোমবার দেশের ৬-৫৯ মাস বয়সী মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৬-৫৯ মাস বয়সী কয়েকজন শিশুকে লাল ও নীল রঙের ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞাসহ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

ভিটামিন-এ ক্যাপসুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। সোমবার দিনব্যাপী সারা দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে খাওয়ানো হয়েছে। 

এর জন্য ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে কাজ করেন। 

৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।

বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম