যমুনা সেতুতে রেল সেতুর কথা বলেছিলাম, বিশ্বব্যাংক শোনেনি: প্রধানমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
বিশ্বব্যাংকের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু নতুনভাবে নির্মাণ করতে হচ্ছে। নির্মাণকালে রেল সেতু নির্মাণের কথা বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক তা শোনেনি। তারা বাখ্যা দিয়েছিল রেল সেতু লাভজনক হবে না। পরে আবার রেল সেতুর গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পেরে নির্মাণ করতে চায়। তাই আমরা করতে অনুমোদন দিয়েছি।
রোববার কালশী বালুর মাঠে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যোগাযোগের ব্যাপক উন্নত হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। ভূগর্ভস্থ টানেলও চালু করতে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, পাতাল রেল করার পদক্ষেপ নিয়েছি। ঢাকার চারপাশে চারটি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌপথ চালুর পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত নভেম্বর মাসে একযোগে ১০০ সেতু ও ১০০ সড়ক উদ্বোধন করেছি, যা এর আগে কখনো কোনো সরকার করতে পেরেছে কিনা আমার জানা নেই। দেশটি আমাদের, এ দেশকে আমরা চিনি, দেশকে আমরা বুঝি, কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসবে, সেটিই মানতে হবে? তা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকতে হবে। নিজেদের দেশ সম্পর্কে জানতে হবে। এ সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা যানযটমুক্ত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার, বনানী, আহসানুল্লাহ ফ্লাইওভার চালু করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেনে উন্নীত সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, খুব শিগগির কর্ণফুলি তলদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করব, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রেল রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ করছি। শুধু তাই নয়, ঢাকা থেকে রংপুর, সিলেট মহাসড়কে চার লেনের উন্নীত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, যা দ্রুত যানের জন্য ব্যবহার হবে। এদিকে পদ্মা সেতু ভাঙা থেকে খুলনা, মোংলা পর্যন্ত রাস্তা ও রেললাইন যোগাযোগের কাজ এগিয়ে চলেছে ।