ফেসবুকে ‘ক্যাসিনো সাঈদের’ সংবাদ দেওয়ায় হামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ মতিঝিল পল্টন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে কয়েকজনকে মারধর করেছেন তার লোকজন।
অবৈধ পথে ঢাকায় এসে সব মামলায় জামিন নিয়েছেন মমিনুল হক সাঈদ। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ‘পলাতক’ সাঈদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অর্থাৎ পাসপোর্ট ব্যবহার করে বৈধপথে দেশে ঢুকতে বা বের হতে গেলেই তার গ্রেফতার হওয়ার কথা।
‘ক্যাসিনো সাঈদ’ দেশে ফিরেছেন এই সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার করায় হামলার শিকার হয়েছেন আহম্মেদ ইসলাম (পুতুল) নামে এক ব্যক্তি।
আহম্মেদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, সাঈদের অনুসারীরাই এ হামলা করেছেন। গত রোববার রাজধানীর মতিঝিল এলাকার দিলকুশা ভবনের সামনে তার ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পর দিন মতিঝিল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আহম্মেদ।
মামলার এজাহারে আহম্মেদ ইসলাম অভিযোগ করেন, সাঈদের একটি সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার দেওয়ার কারণে আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। এতে তিনিসহ তিনজন আহত হন। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা তিনজনের সঙ্গে থাকা ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। চলে যাওয়ার সময় হত্যার হুমকি দেন হামলাকারী ব্যক্তিরা।
মামলায় মো. বশির (৪০), মোস্তফা মিয়া (৩৭), শফিকুল ইসলাম ইকবাল (৪৫), মো. মনজু (৩৮), মহসিন মির্জা (৩৫), মো. আলম (৩২), মো. জয় (৩৫), হানিফ ভূঁইয়া (৪৮) ও মো. মনিরের (৪৮) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী জানান, মামলার পর বশির ও মোস্তফা মিয়া নামে দুই হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে মতিঝিল থানার ওসি (তদন্ত) রাসেল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা জামিনে বেরিয়ে এসেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে মঙ্গলবার জামাল ওরফে ক্যাসিনো জামালের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী স্থানীয় মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আহম্মেদ ইসলাম পুতুলের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। মারধর করা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহমত আলী ও তার স্ত্রী মর্জিনাকে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হককেও লাঞ্ছিত করেছেন তারা। সাঈদের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত স্থানীয় নেতা জামালের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ বাহিনী ফের গা ঝাড়া দিয়ে ওঠায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।