Logo
Logo
×

জাতীয়

আবেদন মঞ্জুর, নারাজি দেবেন ফারদিনের বাবা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:০৩ পিএম

আবেদন মঞ্জুর, নারাজি দেবেন ফারদিনের বাবা

ফারদিন নূর। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন মামলার বাদী ও তার বাবা কাজী নুরউদ্দিন বিশ্বাস।নারাজি আবেদন দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে তিনি যে আবেদন করেছিলেন তা মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৬ মার্চ ঠিক করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম। ফারদিনের বাবার আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিন হত্যা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে বলা হয়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে ঘটনার সঙ্গে ফারদিনের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরার কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করেননি। পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজি দেবেন বাদী। নারাজি আবেদন দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে তিনি যে আদালতে আবেদন করেছিলেন; তা মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ নভেম্বর বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন নূর। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন। এর পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।

এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেন ফারদিনের বাবা। মামলায় ফারদিনের মেয়ে বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেফতারের পর বুশরাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৮ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান বুশরা।

ফারদিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ছায়া তদন্ত করে র‌্যাব। সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়ার অপরাধী চক্র।

তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি গত ১৪ ডিসেম্বর জানায়, আর্থিক, পারিবারিক ও পড়াশোনা নিয়ে হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ওই দিনই র‌্যাবও একই কথা জানায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম