বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে ইমাম-খতিবদের যে নির্দেশনা দিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩২ পিএম
বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সবধরনের বিভ্রান্তকর, বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের সব মসজিদে তাবলিগ জামাতের উভয়পক্ষের দেশি-বিদেশি জামাত ও মুসল্লির অবস্থান নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচলক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে সরকারের এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
টঙ্গী ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে অপপ্রচার, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে রোববার পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব ইমাম-খতিব ও সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়, আগামী ১৩-১৫ জানুয়ারি টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ও ২০-২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ রাখা, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষা এবং বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমর্যাদা সমুন্নত রাখার নিমিত্তে সবধরনের বিভ্রান্তকর, বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহার করা এবং দেশের সব মসজিদে উভয়পক্ষের দেশি-বিদেশি জামাত ও মুসল্লির অবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি।
এমতাবস্থায় বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড পরিহার করার বিষয়ে বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে জুমার খুতবার আগে এবং ওয়াক্তিয়া নামাজের আগে-পরে মসজিদের মাইক থেকে নিয়মিতভাবে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদের আহলে শূরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের দেওয়া এক চিঠিতে ইজতেমার কার্যক্রমে অপপ্রচার, উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দল (জুবায়েরপন্থি) ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি (মাওলানা জুবায়েরপন্থি) এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০-২২ জানুয়ারি (মাওলানা সাদপন্থি) তারিখে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রথম পর্বের আয়োজকদের অনেকে এবং কিছু কিছু মসজিদের ইমাম জুমার বয়ান ও অন্যান্য ওয়াজে একটিমাত্র ইজতেমা হবে এবং সেটি প্রথম পর্বের বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া অনেক মসজিদে দেশি-বিদেশি জামাত উঠতে বাধা দিচ্ছে।
এমন অবস্থায় এ ধরনের অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার চরম আশঙ্কা রয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।