বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
ছবি: যুগান্তর
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে অপপ্রচার, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে টঙ্গী ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে অপপ্রচার, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ইসলামিক ফাউন্ডেনের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কাকরাইল মসজিদের আহলে শূরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের দেওয়া ওই চিঠিতে ইজতেমার কার্যক্রমে অপপ্রচার, উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দল (জুবায়েরপন্থি) ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি (মাওলানা জুবায়েরপন্থি) এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০-২২ জানুয়ারি (মাওলানা সাদপন্থি) তারিখে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রথম পর্বের আয়োজকদের অনেকে এবং কিছু কিছু মসজিদের ইমাম জুমার বয়ান ও অন্যান্য ওয়াজে একটিমাত্র ইজতেমা হবে এবং সেটি প্রথম পর্বের বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া অনেক মসজিদে দেশি-বিদেশি জামাত উঠতে বাধা দিচ্ছে।
এমন অবস্থায় এ ধরণের অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও বিদেশীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার চরম আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের (জুবায়েরপন্থি) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।
২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
২০২০ সালে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর ২০২১ ও ২০২২ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।