বাবার খুনি গ্রেফতারে ফেসবুকে যা লিখলেন সোহেল চৌধুরীর মেয়ে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৪৫ এএম
১৯৯৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী।
২৪ বছর পর সেই হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এতো দীর্ঘ সময় পর বাবার হত্যাকারী অন্যতম আসামিকে গ্রেফতারে সেভাবে মুখ খুলেননি সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া।
এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। তবে আশিষ রায় গেফতারের পর নিজের ফেসবুকে ছোট্ট একটি লাইন লিখেছেন লামিয়া।
যদিও সেখানে বাবা কিংবা খুনির গ্রেফতারের কোনো প্রসঙ্গ টানেননি তিনি। সরাসরি এ বিষয়ে কিছুই লেখেননি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের কালজয়ী একটি গানের প্রথম লাইন লিখেছেন।
বুধবার ফেসবুকে লামিয়া লিখেছেন, 'ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।'
তার এই এক লাইনের স্ট্যাটাসই নেটিজেনদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
অনেকের ধারণা, এতোদিন পর বাবার হত্যাকারী অন্যতম আসামির গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন লামিয়া। তাই সে কথা জানাতেই বাবার উদ্দেশে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ভালো আছেন তিনি।
অবশ্য অনেকের মতে, মা চিত্রনায়িকা দিতির উদ্দেশ্যেও লেখা হতে পারে লামিয়ার চিঠি।
সোহেল-দিতি দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে শাফায়েত চৌধুরী এ ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। কোথাও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী পড়াশোনা করেছেন কানাডায়।
টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় এসে নির্মাতা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। দিতির মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী ‘দুই পুতুল’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেছেন লামিয়া। এরপর আর নিয়মিত দেখা যায়নি তাকে।
বর্তমানে ঢাকাতেই বসবাস করছেন লামিয়া। ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে ফাস্টফুড সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।
অন্যদিকে, কানাডার রিয়ারসন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে নেদাল্যান্ডসের আমস্টারডামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন শাফায়েত।
গত বছরের মাঝামাঝি নেদাল্যান্ডসের এক তরুণীকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে আমস্টারডামে বসবাস করছেন শাফায়েত।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে বনানীর এক ক্লাবের সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন সোহেল চৌধুরী। ২০১৬ সালে ক্যান্সারে মা দিতিকে হারান তারা।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে সোহেল হত্যাকাণ্ডেরন এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ছিলেন।