Logo
Logo
×

জাতীয়

বন্যার পর পুনর্বাসনে জোর দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৭ এএম

বন্যার পর পুনর্বাসনে জোর দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ছবি: যুগান্তর

দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্যাদুর্গতদের সকল প্রকার সহায়তা ও  বন্যার পর পুনর্বাসনে জোর দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, ‘দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে বন্যাদুর্গতদের সকল প্রকার সহযোগিতা দিতে হবে।’

বন্যা শেষে সময়মতো খুব বেশি কার্যকর পুনর্বাসন কর্মসূচি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৭ জুলাই) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন,  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন, ‌‌যত রকমের সাহায্য সহযোগিতা মানুষের দরকার সবগুলো করতে হবে। কোভিডের এই সময় যেহেতু বন্যা তাই একটু বেশি কেয়ারফুল থাকতে হবে। অলরেডি প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ে যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন তারা অবশ্যই সেখানে থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘পুনর্বাসন প্রোগ্রামগুলো যেন খুব ভালো হয়, খুব এফেকটিভলি হয়, টাইমলি হয়- সেটার বিষয় মন্ত্রিসভা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জোর দিতে বলেছেন।’

বন্যায় আমনের ক্ষতি হলেও পলির কারণে বন্যার পরের সুফলটা নিতে কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উঁচু এলাকায় আমনের ফলন ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী মহোদয় এটা ডিটেইলস এক্সপ্লেইন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন, রোপা আমনে যেন আমরা খুব অ্যাটেনটিভ থাকি। এর পুরো সুযোগটা যদি আমরা নিতে পারি তবে বোরোতে যে এক্সেস প্রোডাকশন হয়ে গেছে, আশা করা যাচ্ছে আমন ও রোপা আমন মিলে আমাদের উৎপাদন ভালো হলে সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য একটা বড় হাতিয়ার হবে। খাদ্যদ্রব্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি।’

‘যেখানে যেখানে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র পর্যাপ্ত নয় সেখানে আমি নিজে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেও দিয়েছেন ওই এলাকাতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় লোকজন আশ্রয় নিতে পারে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বিশেষ করে করে গরু বাছুরকে যে ভ্যাকসিন দেয়ার সেগুলো যেন সব রেগুলার দেয়া হয়। এগুলো অলরেডি সুপারভিশন করা হচ্ছে, ইন্সট্রাকশন দেয়া হচ্ছে।’

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় ৩১ জেলার প্রায় ৪০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোভিডের কারণে ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরকারের প্রস্তুতি ছিল। সবকিছু ওপেন করে দেওয়ায় ত্রাণের চাহিদা কমে গেছে। ভালো একটা রিলিফ আমাদের কাছে মজুদ আছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম