গণপরিহন নেই সড়কে। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আজ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সড়কে দু-চারটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ছাড়া গণপরিবহন দেখা যায়নি। জরুরি সেবার যান ও মালবাহী ট্রাকও খুব একটা দেখা যায়নি।
বিভিন্ন স্পটে আইনশৃংখলাবাহিনী সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দেখলেই থামাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন?
গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বুধবার থেকেই সড়কে গণপরিবহন কম দেখা যায়। অফিসফেরত মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আজ সকাল ৯ টায় রাজধানীর বনানী-এয়ারপোর্ট সড়কে কোন বাস যাতায়াত করতে দেখা যায়নি। দু-চারটি প্রাইভেটকার দেখা গেছে। অন্য দিনের চেয়ে মোটরসাইকেলও কম ছিল।
উবার-পাঠাওয়ের মত বাহনও তেমন একটা দেখা যায়নি। লোকজনও খুব কম দেখা গেছে সড়কে। তারা বাসা বাড়িতেই অবস্থান নিয়ে আছেন। কেউ কেউ লম্বা ছুটিতে আগেই গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন।
২৪ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনায় এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিদের্শনা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে আজ থেকে ১০ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস চীনের উহান থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও থাবা বসিয়েছে করোনা। মারা গেছেন ৭ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন।