ইজতেমা ময়দান। ছবি: যুগান্তর
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে না। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে উত্তরার দিয়াবাড়ী ও আশকোনা হজ ক্যাম্পে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
শুক্রবার সকালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ৪ নম্বর গেটে তাবলিগ জামাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিম্মাদার চান মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মাঠে এসে জানিয়েছিলেন, এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। কিন্তু শুক্রবার সকালে জানতে পারি এটা উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে।
তবে তিনি জানান, ইজতেমা মাঠের মাদ্রাসা শুক্রবার সকালে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গত ১৪ দিনে বিদেশ থেকে ৪ হাজার ২৩০ জন প্রবাসী গাজীপুরের কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জে এসেছে। বিদেশ ফেরত এসব বাংলাদেশিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে শতাধিক পুলিশ সদস্য ২৫টি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কোয়ারেন্টাইন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজ ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প এলাকায় পৃথক দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরেই ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিরা’ স্ক্রিনিং করার পর প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে এসব যাত্রীকে হস্তান্তর করা হবে। পরে সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থা/অধিদফতর/বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।