
অবশেষে মুখ খুললেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের নির্যাতক সদ্য প্রত্যাহার হওয়া কুড়িগ্রামের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন।
ঘটনার তিনদিন পর মঙ্গলবার নাজিম বলেন ‘আমি আরিফ ভাইকে মারিনি।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে শাস্তি হওয়ার তা হয়েছে। ওই ঘটনায় আমাদের যাদের নাম এসেছে তাদের সবাইকে ওএসডি করা হয়েছে।
এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে আর কোনো সংবাদ না প্রকাশ করতেও অনুরোধ করেছেন নাজিম।
সাংবাদিক আরিফকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের এক স্থানীয় সাংবাদিককে এমনটাই জানিয়েছেন নাজিম।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের নির্দেশে সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর) নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪০ জনের একটি দল আরিফুল ইসলামের বাসার দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে মারধর করে প্রথমে এনকাউন্টার দেয়ার (গুলি করে হত্যা করার) হুমকি দেয়।
সেখান থেকে তাকে তুলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। এরপর সাজানো মামলায় ৪৫০ গ্রাম দেশি মদ ও ১০০ গ্রাম গাঁজা সঙ্গে দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় আরিফকে। চোখ বাঁধা অবস্থাতেই চারটি কাগজে স্বাক্ষরও করতে বাধ্য করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এবং জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু কান্তি দাশ ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।