![চোখে নীরব অন্ধত্বের বড় কারণ গ্লুকোমা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2020/03/14/image-289055-1584204533.jpg)
বিশ্বের প্রায় সাত কোটি মানুষ গ্লুকোমা রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের শতকরা প্রায় তিনজনের গ্লুকোমা রয়েছে বলেছে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দিষ্ট চাপ থাকে। চোখের স্বাভাবিক চাপ ১০-২০ মিমি মারকারি। কোনো কারণে এই চাপ বৃদ্ধি পেলে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং আস্তে আস্তে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। একপর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থাই গ্লুকোমা।
বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ শেষ হচ্ছে আজ। নীরব অন্ধত্বের প্রধান কারণ এই গ্লুকোমা নিয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গুরুত্বের সঙ্গে সপ্তাহটি পালিত হয়।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরেও পাওয়া যায় না। এটি নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়।
নিরাময় যোগ্য না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সাধারণত ওষুধ, লেজার ও শৈলা চিকিৎসা এই তিন পদ্ধতিতে গ্লুকোমার চিকিৎসা করা হয়। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, রোগীর কাউন্সিলিং, চোখের উচ্চ চাপ, থিকনেস, দৃষ্টি ক্ষয় এবং দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করার মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, গ্লুকোমা সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. শেখ এম এমএ মান্নাফ, অধ্যাপক এম নজরুল ইসলাম, সংগঠনের মহাসচিব ডা. সালমা পারভীন, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহিদ, অভিনেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে গুকোমা রোগের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন কয়েকজন রোগী তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এর আগে সকালে গ্লুকোমা সোসাইটির উদ্যোগে ধানমণ্ডির হক আই হাসপাতালে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শারফুদ্দীন আহমেদ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।