ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৮ এএম
র্যাবের হাতে গ্রেফতার আসামি মজনু। ফাইল ছবি
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় আসামি মো. মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি এ স্বীকারোক্তি দেন। স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সাতদিনের রিমান্ড চলাকালীন ষষ্ঠদিনে এ দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরও আগে এ মামলায় গত ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই ভিকটিম ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির রোকেয়া হলে থাকেন। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। তখন ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা একজন এসে তাকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার গলা চেপে ধরে। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটি কিছুটা সুস্থ হলে ওই যুবক তাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। ওই যুবক (আসামি) মেয়েটির (ভিকটিম) কাছে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে। পরে আসামি মেয়েটির কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ব্যাগ ও নগদ দুই হাজার টাকা নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে মেয়েটি দৌড়ে রিকশা করে তার বান্ধবীর বাসায় যান। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি ৯ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডে আসামি মজনুকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর আসামির স্বীকারোক্তি অনুসারে ওই ছাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।