তালিকা যাচাই করে আপিল বিভাগে আইনজীবীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:১১ পিএম
ফাইল ছবি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে এনরোলমেন্ট তালিকা দেখে কিংবা পরিচয়পত্র যাচাই করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আপিল বিভাগের প্রবেশমুখে এই চিত্র দেখা গেছে। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োজিত সদস্যরা আইনজীবীদের পরিচয় ও তালিকা যাচাই করতে দেখা গেছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটি ১২ নাম্বারে রাখা হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চেয়েছিলেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে বুধবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি সিলগালা অবস্থায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে পৌঁছে দিয়েছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামিন শুনানিতে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে।
জানা যায়, ছয় সদস্যের চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড রিপোর্টে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট আসা নিয়ে মুখ খুলছে না সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
মেডিকেল রিপোর্টের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। আপনারা সুপ্রিমকোর্টের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যা বলার তিনিই বলবেন।’
পরে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করতে আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ফারুক হোসেন ও একেএম এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে রয়েছেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। ১৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।
৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এ আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। ৩০ এপ্রিল ওই আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন।
পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় হাইকোর্ট ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দিলে ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল।