Logo
Logo
×

জাতীয়

আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি এলো কীভাবে, বিস্মিত পুলিশ

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৪ পিএম

আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি এলো কীভাবে, বিস্মিত পুলিশ

আইএসের টুপি মাথায় আসামি রাকিবুল ইসলাম। ছবি-সংগৃহীত

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের পর আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে এলো তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

বুধবার রায় ঘোষণার পর আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তিনি এ কথা বলেন। 

মনিরুল ইসলাম বলেন,  ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে কি আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।’

এর আগে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ের পর আসামিদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালত কক্ষ থেকে বের করার সময় তারা স্লোগান দিতে থাকে। 

এ সময় আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি পরে ছিলেন। 

এরপর আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী।

দণ্ডপ্রাপ্ত নব্য জেএমবির এসব জঙ্গিদের আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার সময় তারা প্রিজনভ্যানের ভেতর থেকে চিৎকার করে নিজেদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে বলতে থাকেন। একই সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে সকালেও আসামিরা হাসিমুখে আঙুল উঁচিয়ে আদালতে প্রবেশ করে। তখন তাদের চোখেমুখে কোনো চিন্তার ছাপ ছিল না। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়ে, সকালে আদালতে হাজির করার সময় কারো মাথায় এমন টুপি ছিল না। কিন্তু বের হওয়ার সময় রাকিবুলের মাথায় এই টুপি দেখা যায়। 

কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা এসব জঙ্গিরা আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি কোথায় পেলেন তা নিয়ে বিস্ময় ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

তবে আসামিরা কারাগার থেকে এ টুপি নিয়ে এসেছেন নাকি আদালতে আনার সময় বা আনার পর কোনোভাবে তাদের কাছে এই টুপি এসেছে— তা এখনও জানা যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম