হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
দুই জেলায় নতুন ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আলোচিত ওই দুই জেলা হবিগঞ্জ ও মাগুরায় নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন জেলা প্রশাসকরা হলেন যথাক্রমে মো. কামরুল হাসান ও আশরাফুল আলম।
বুধবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. কামরুল হাসান বর্তমানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সর্বশেষ আশরাফুল আলম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপসচিব হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব কে এম আল আমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কামরুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যায় অনার্স-মাস্টার্স করেন। এছাড়াও তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে গভর্মেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে ডিগ্রি অর্জন করেছেন ময়মনসিংহের এ কৃতি সন্তান।
বিসিএসের ২১ তম ব্যাচের এ কর্মকর্তা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক পর্যায়ে তিনি সিনিয়র সহকারী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগদান করেন। সেখানে তিনি উপসচিব হিসেব পদোন্নতি পান।
মাগুরা জেলা প্রশাসক হিসেবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ড. আশরাফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিসিএস ২২তম ব্যাচের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে তিনি (জেলা প্রশাসক হিসেবে) মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পেয়েছেন।
এছাড়াও তিনি স্কলারশিপে জাপান থেকে কেমিকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রশাসনে যোগ দেয়ার আগে মাঝপথে তিনি কিছুদিন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েটে শিক্ষকতাও করেছেন।
তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়। কটিয়াদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন।
২০০৩ সালে তিনি পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে প্রশাসনের ক্যারিয়ার শুরু করেন। এছাড়াও নাটোর ও কুড়িগ্রামে এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা ইউএনও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আশরাফুল আলম। এরপর পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপসচিব (আইন) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর যুগান্তরকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ড. আশরাফুল আলম বলেন, আমি খুবই খুশি। আমার সর্বোচ্চ শ্রম ও যোগ্যতা দিয়ে দেশের ও সরকারের যাবতীয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকব। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক কাজকে বিশেষ গুরুত্ব দেব।