ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে মুক্তি চেয়েছেন তার বোন ফারহানা চৌধুরী।
রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পূর্বসাহেব নগরের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে তিনি এ দাবি করেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমার ভাই নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সে হার্টের রোগী। তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। তার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।
‘জুয়া খেলা সম্রাটের নেশা’ দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর এমন বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেও দাবি করেন তিনি। ফারহানা বলেন, ‘শারমিন চৌধুরী লোভী প্রকৃতিতির একজন নারী। সে সব সময় টাকার জন্য আমার ভাইকে যন্ত্রণা দিত। এজন্য সম্রাট তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই ক্ষোভ থেকেই সে এসব কথা বলেছে।’
শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সহযোগী আরমানসহ কুমিল্লার চেৌদ্দগ্রামে গ্রেফতার হন। রোববার বিকেলে সম্রাটকে নিয়ে পরশুরামের তার গ্রামের বাড়িতে অভিযানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিকালে উপজেলার সাহেব নগরের বাড়ির সামনে পুলিশের একটি গাড়ি কিছুক্ষণ অবস্থান নিলেও পরে কোনো ধরনের অভিযানের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে তার সহযোগী ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে হেলিকপ্টারযোগে ফেনী নিয়ে আসে র্যাব। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে র্যাব- ৭ তাকে ফেনী থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসে।
গ্রেফতারের পর সম্রাট ও আরমান দুজনকেই ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর সম্রাটকে নেয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। আর তার সহযোগী আরমানকে নেয়া হয় কুমিল্লা কারাগারে।