রাজীব
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই বাসের চিপায় হাত হারানোর পর কলেজছাত্র রাজীব মারা যাওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ বারেও আদালতে জমা পড়েনি। এই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ফের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আফতাব আলী প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আদালতসূত্র জানায়, শিক্ষার্থী রাজীব মতিঝিল থেকে বিআরটিসি দোতলা বাসে ওঠে মহাখালীর উদ্দেশে রওনা হন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ থানাধীন পান্থকুঞ্জ পার্কসংলগ্ন রাস্তার ওপর পৌঁছানো মাত্রই বিআরটিসি বাসটি ট্রাফিক সিগন্যালে পড়ে।
এ সময় বাসের পেছনের দরজার কাছে দাঁড়ানো অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে রাজীব তার ডান হাত বের করেন।
এর পর পরই হঠাৎ দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে পেছনের দিক থেকে স্বজন পরিবহনের বাস এসে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি করে ওভারটেক করার চেষ্টা করে।
ওই সময় দুই বাসের চাপে রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজীবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে বিআরটিসি বাসচালক অহেদ আলীকে আটক করে। আর সেখানে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদ। তবে তাকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই বছরের ৫ এপ্রিল আসামিদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৮ এপ্রিল দুদিনের রিমান্ড শেষে ওই দুই চালককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে দুই আসামি কারাগারে রয়েছেন। শাহবাগ থানার এসআই মো. আফতাব আলী মামলাটি তদন্ত করছেন।
এদিকে গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজীব মারা যান।