Logo
Logo
×

জাতীয়

চাকরিতে কোটা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করল সরকার

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৩৫ এএম

চাকরিতে কোটা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করল সরকার

কোটা সংস্কার আন্দোলন। প্রতীকী ছবি

কোটা ব্যবস্থা বাতিলের পরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রয়েছে বলে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল তা দূর করেছে সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে (৯ম থেকে ১৩তম) নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো কোটা বহাল নেই। 

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে (১৪তম থেকে ২০তম পর্যন্ত) কোটা বহাল রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীর মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করতে হবে। 

কোটার বিষয়ে স্পষ্ট করে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়- গত বছরের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলের পরিপত্রে বলা হয়,  সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের পরিপত্রের কোটা পদ্ধতি নিম্নোক্তভাবে সংশোধন করেছে- নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধারভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। 

একই সঙ্গে এ সব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হল। 

এতে আরও বলা হয়,  ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল জারি করা স্মারক অনুযায়ী,  ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটায় (মুক্তিযোদ্ধা,  মহিলা,  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী,  এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূর্ণ পদগুলো জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী স্ব-স্ব জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করতে হবে।

কিন্তু কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারির পরও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রয়েছে বলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি স্পষ্ট করে চিঠি দিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
উল্লিখিত পরিপত্র জারির আগে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হতো মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। 

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। 

এর পরও কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলতে থাকলে ২০১৮ সালের ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। 

কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাবটিই পরবর্তীকালে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম