পাস্তুরিত দুধের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপকের প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট বলেন, দুধের বিষয়ে যেসব ক্যাটাগরিতে পরীক্ষা করা হয় এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট পরীক্ষার সক্ষমতা আমাদের আছে কিনা?
এ ছাড়া এটি পরীক্ষা করলে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে সায়েন্সল্যাব এবং আইসিডিডিআরবির কতদিন সময় লাগবে সেটিও বিএসটিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
এসব জানানোর জন্য বিএসটিআইকে ২ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন। আদালত বলেন, ‘দুই ঘণ্টার মধ্যে জানান, আজ (রোববার) দিনের শেষেই (বিকালে) অর্ডার দেব।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার চৌদ্দটি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বিএসটিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদনে আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এ বক্তব্যের কারণে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীকে তিরস্কার করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ ছাড়া দুধ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য ও বিজ্ঞাপন প্রচার না করতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গত মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেন।