আমি বাঁচতে চাই না, মরতে চাই: আদালতে শতবর্ষী রাবেয়া
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ০৪:৫১ এএম
আদালতে শতবর্ষী রাবেয়া। ফাইল ছবি
শতবর্ষী রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে চলমান যে মামলাটি হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন, সেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে ঢাকার ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ জুলাই তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও রিয়াজুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। রাবেয়া খাতুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। তিনিই এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে প্রায় ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় বৃদ্ধ রাবেয়া খাতুন আজ হাইকোর্টে হাজির হন। তিনি তার নাতি আলমগীর হোসেনের হাত ধরে লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তার পরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দিই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।
‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।
এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
এর পর গত ১৫ মে হাইকোর্ট এক আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রাবেয়া আদালতে হাজির হন।
আবেদনকারী আইনজীবী আশরাফুল আলম জানান, ২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তার বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য- তার বয়স ১০৪ বছর।
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।