ফাইল ছবি
চলতি বছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে ধানের বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের নেয়া কার্যক্রম জানাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সুগন্ধি চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এই প্রথম সব ধরনের চাল রফতানির সিদ্ধান্ত জানানো সরকার।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ঠিক রেখে চাল রফতানি করা হবে। যদিও এটি সহজ কাজ নয়। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রণোদনা দেবে সরকার। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান কেনা হবে। চালের আমদানি শুল্ক ২৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ ভাগ আরোপ করা হয়েছে। তাই চাল আমদানি হবে না বলে আশা করি। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত এবং চাল রফতানিকে উৎসাহিত করা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করে মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। ২০১৭ সালে চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের কারণে চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, তার বড় একটি অংশ মজুত এবং অনুক‚ল আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ধানের দাম কমে গেছে। কৃষিকে আরও যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে তিন হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমাধান কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা। এ দায়িত্ব সরকারের। যন্ত্র কিনতে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, আর ৫০ ভাগ দেয় চাষিরা। হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় সরকার দেয় ৭০ ভাগ আর চাষি দেয় ৩০ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেহেতু দেশ উন্নত হচ্ছে তাই যান্ত্রিকীকরণে আমাদের যেতেই হবে। এ কারণে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখান থেকে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিন হাজার কোটি টাকা কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে প্রণোদনা দেবেন।’
ধান সংগ্রহের প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধান সংগ্রহের পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া সরকারের গুদামের ধারণ ক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা। চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮ থেকে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। নন ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে।