Logo
Logo
×

জাতীয়

আমাদের জলাশয়ে প্রচুর অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ রয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৫০ এএম

আমাদের জলাশয়ে প্রচুর অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ রয়েছে: প্রতিমন্ত্রী

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। ছবি: যুগান্তর

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, মৎস্য খাতের উন্নয়ন ভাবনায় আমরা এতদিন শুধুমাত্র প্রচলিত মৎস্যসম্পদ যেমন মাছ ও চিংড়িকেই বিবেচনা করে আসছি। কিন্তু এর বাইরেও আমাদের জলাশয়ে বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন প্রচুর অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে কাঁকড়া, কুচিয়া, ওয়েস্টার, শামুক, ঝিনুক, সীউইড ইত্যাদি অন্যতম।

বুধবার বিকালে রাজধানীর কেআইবি থ্রি ডি সেমিনার হলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিউট কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মশালায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ উপকূলে সীউইড চাষ : সম্ভবনা ও গবেষণা অগ্রগতি” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন  বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। এতে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, যুগ্ম সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের “বাংলাদেশ উপকূলে সীউইড চাষ এবং সীউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু  আরও বলেন, অমিত সম্ভাবনাময় আমাদের সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ও সহনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র কক্সবাজারস্থ সমুদ্র উপকূলে নয়, অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলেও সীউইড চাষ প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে উপকূলীয় দরিদ্র জনসাধারণের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।

তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমায় মৎস্যসম্পদের মজুদ নির্ণয় এবং আহরণক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ নামক জাহাজের মাধ্যমে বর্তমানে জরিপ কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এসব জরিপের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য আমাদের সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।

রইছউল আলম মন্ডল বলেন, সীউইডসহ বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন অন্যান্য অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। সীউইড চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে উপকূলীয় জনসাধারণের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

মূল প্রবন্ধের ওপর নির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. এস.এম.রফিকুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, জেলে ও মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম