Logo
Logo
×

জাতীয়

আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩১ এএম

আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারে আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয় ২০১৪ সালে। আর কায়সারের সর্বোচ্চ সাজার রায় হয় তার পরের বছর।

আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রায়ের এক মাসের মধ্যে খালাস চেয়ে আপিল করেন দণ্ডিত দুই যুদ্ধাপরাধী। এর পর ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট এক আদেশে আপিল বিভাগ এ দুটি আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেয়।

ওই বছর ১০ অক্টেবর দুই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়। প্রায় দেড় বছর পর বুধবার মামলা দুটি সর্বোচ্চ আদালতের কার্যতালিকায় আসে।

দুই মামলার আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ঠিক করে দিয়ে আজ প্রধান বিচারপতি বলেন, সেদিন কার্যতালিকার ১ নম্বরে এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং ২ নম্বরে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার আপিল মামলা থাকবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা দুটো একসঙ্গে দেখব, একটার পর একটা।

এ সময় খন্দকার মাহবুব আট সপ্তাহ সময় চাইলে তা নাকচ করে দেন প্রধান বিচারপতি। 

তিনি বলেন, সময় তো আট সপ্তাহের বেশিই দেয়া হলো, ১৮ জুন শুনানি।… এ মামলাগুলো দেরি করা যাবে না, তাতে (কার্যতালিকার) নিচে চলে যায়।

এই বেঞ্চের অপর তিন বিচারক হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।


এটিএম আজহারুল ইসলাম
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

প্রসিকিউশনের আনা ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।


সৈয়দ কায়সার
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

রায়ের দিন বিচারক বলেন, সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬ অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

তাকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয় ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে, যার মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে। এ দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্যও দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন সৈয়দ কায়সার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম