
প্রিন্ট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ এএম
কওমি মাদ্রাসার আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ৯ বছর স্টাডি করেছেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০১৯, ০৯:৫৪ পিএম

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
কওমি মাদ্রাসার আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ বছর স্টাডি করেছেন বলে সংসদে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সরকারদলীয় এ সংসদ সদস্য।
কওমি সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে নদভী বলেন, ‘এই সংসদে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়ে আইন পাস হয়েছে। আমরা সব সংসদ সদস্য একমত হয়ে আইন পাস করেছি। তারপরও এটার ওপর কথা বলা কোনো রকম কাম্য নয়। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেন না, যত দিন পর্যন্ত উনি ফিজিবিলিটি স্টাডি না করেন।
উনি কওমি মাদ্রাসার আইনটা ৯ বছর ধরে স্টাডি করেছেন। ৯ বছর স্টাডি করার পরে দেওবন্দের উসুলে হাস্তেগানা তথা ৮ নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে এ আইন পাস করেছেন। তারপর এটা নিয়ে কথা বলা কাম্য নয়। কেন পাস করেছেন? ইনসাফ কায়েম করার জন্য, আদল কায়েম করার জন্য। ২০ হাজার কওমি মাদ্রাসায় ২০ লাখ কওমি শিক্ষার্থী। তাদের প্রতি ইনসাফ করেছেন। আল্লাহ আদল করতে বলেছেন। আদলকারীরা তাকওয়াবান। প্রধানমন্ত্রী তাকওয়ার কারণে এ স্বীকৃতি দিয়েছেন '
চট্টগ্রামের সাতকানীয়া-লোহাগাড়া থেকে নির্বাচিত এই এমপি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেওবন্দী আলেমদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে ওলামায়ে দেওবন্দ ব্যাপক অবদান রেখেছেন। যার কারণে ভারতের হিন্দু,বৌদ্ধসহ সবাই দেওবন্দি আলেমদের সম্মান করেন।
ব্রিটিশ সরকারের হাতে ধ্বংস হওয়া ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থাকে রক্ষা করতেই দেওবন্দ,সাহারানপুর ও নদওয়াতুল ওলামা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেওবন্দীদের উপমহাদেশের সকলেই শ্রদ্ধা ও ভক্তি করেন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেওবন্দী আলেমদের সম্পর্ক অনেক পুরোনো জানিয়ে আবু রেজা নদভী বলেন, মাওলানা ভাষানী, মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ উভয়ে দেওবন্দে পড়াশোনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুও মাওলানা শামসুল হক ফরীদপুরী ও মাওলানা আতহার আলীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন বলে আমরা সকলে জানি।
আমাদের প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনাও আল্লামা শফীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রাখেন। তাই কওমি মাদ্রাসা বিষয়ে এমন মন্তব্য আমাদের আহত করে।
আইন পাস হওয়ার পর সংসদে এমন আলোচনা অনভিপ্রেত জানিয়ে আবু রেজা নদভী বলেন, 'কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান মর্যাদা দিয়ে এই সংসদে আইন পাস হয়েছে। আইন পাস হওয়ার পর এ ধরনের মন্তব্য আমাদের একটু আহত করেছে। কারণ আমিও কওমি সন্তান।'
কওমি মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতিতে জামায়াত ছাড়া সবাই খুশি হয়েছে জানিয়ে নদভী বলেন, ' এ স্বীকৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সবাই খুশি হয়েছেন, পুরো মুসলিম বিশ্ব খুশি হয়েছেন, মুসলিম বিশ্বের আলেমরা খুশি হয়েছেন। শুধু একটা দল খুশি হন নাই, সেটা হলো জামায়াতে ইসলামী। কওমি স্বীকৃতিতে তারা খুশি হতে পারে নাই।’