আবারও গ্যাসের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সোমবার সকাল থেকে গণশুনানি শুরু করেছে ।
কাওরান বাজারের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটরিয়ামে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণশুনানি চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।
সোমবার সকাল ১০টায় গ্যাসের দামের ওপর একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
সাড়ে ১০টা থেকে গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রস্তাবিত সঞ্চালন লাইনের চার্জের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবে বলা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে এক বার্নারের গ্যাসের চুলা ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা, দুই বার্নারের চুলা ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৩ টাকা ৬৫ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মাহমুদউল হক ভুইয়া, মিজানুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান উপস্থিত আছেন। জিটিসিএলের পক্ষ থেকে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুন সঞ্চালন চার্জের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সঞ্চালন চার্জ প্রতি ঘনমিটারে শূন্য দশমিক ২৬৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৪২৩৫ টাকা করে কমিশন। চার মাসের মাথায় জিটিসিএল আবারও সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
একই অর্থবছরের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ। এর আগে সব প্রস্তুতি নিয়েও নির্বাচনের আগে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া থেকে সরে আসে কমিশন। জানা গেছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গড়ে ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি হবে।
দুপুর আড়াইটা থেকে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।
১৩ মার্চ সকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আর দুপুরে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানি করা হবে।
১৪ মার্চ সকালে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি করবে কমিশন।
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং সিএনজির গ্যাসের দাম ৩২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ৬৬ পয়সা, সার কারখানার ক্ষেত্রে ২ টাকা ৭১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে ৯ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা, শিল্প কারখানার ক্ষেত্রে ৭ টাকা ৭৬ পয়সা থেকে ১৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।