
প্রিন্ট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
সাহসিকতা পদক পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:২৩ পিএম

সাহসিকতা পদক পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল। ছবি: যুগান্তর
আরও পড়ুন
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ জঙ্গি নেতাসহ মোট ৩৩ জন দুর্ধর্ষ জঙ্গি গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পুলিশ সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (সাহসিকতা )পেয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও র্যাব-১৩ অধিনায়ক মো. মোজাম্মেল হক।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে পদক পরিয়ে দেন। এর আগে তিনি একবার বিপিএম সেবা ও পিপিএম সেবা পদক পান।
এছাড়াও তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে সরকার প্রবর্তিত ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড পদক লাভ করে।
পদকপ্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মো. মোজাম্মেল হক যুগান্তরকে বলেন, আগেও দুবার পদক পেয়েছি। তবে সাহসী কাজের জন্য এবার প্রথম বিপিএম সাহসিকতা পদক পেয়ে খুব বেশি ভালো লাগছে।
ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে ভালো কাজ করার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে র্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন গঠনের পর এবার সামগ্রিকভাবে ১৪টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে র্যাব-১৩ তৃতীয় হয়েছে।
জঙ্গিবিরোধী সাহসী অভিযানের কারণে র্যাব-১৩ আরও দুজন মেজর সোহেল রানা ও মেজর আরমিন রাব্বি পিপিএম সাহসিকতা পদক পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
র্যাব-১৩ অধীনস্ত দুটি বিভাগের জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, রংপুরের ও রাজশাহী বিভাগের জেএমবির সমন্বয়ক আব্দুর রহমান ও সামরিক কমান্ডার রাহাত এবং ওই এলাকার আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের আমির লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব্।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর তিনি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করেন। এরপর ২০১২ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি বগুড়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি ২০১৫ সালের ৩ জুন তারিখে নওগাঁয় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর গণমুখী পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলার মাদক, সন্ত্রাস নাশকতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের লক্ষে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী সুলতানা হক কণা একজন সুগৃহিণী। তিনি মেধাবী দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জনক।