পরীক্ষা শুরু হয়ে আধা ঘন্টা পেরুতেই ফেসবুকে এলো বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন!
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৫:৪৫ পিএম
ফেসবুকে এলো আজকের বাংলা প্রশ্ন
দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে।
আজ বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নকল ও প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। আগের চাইতে এবার আমরা আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
প্রশ্নফাঁস বা তার গুজব ছড়ালে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ না পাওয়া গেলেও পরীক্ষা চলাকালীন বাংলা ১ম পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং সৃজনশীল প্রশ্ন ফেসবুকে পাওয়া গেছে।
ফেসবুকের ‘Ssc all board question out 2019-√100%’ নামের একটি পেজে আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পোস্ট করা হয়।
সেখানে আসল প্রশ্নের সঙ্গে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মিল পাওয়া যায়নি।
কিন্তু সৃজনশীল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
ছবিটি একটু ঘোলাটে থাকায় প্রশ্নগুলোর সমাধান চেয়ে কমেন্ট করছেন পরীক্ষার্থীর অনেক অভিভাবকেরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থী ও ডিউটি শিক্ষকরা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
শুধুমাত্র জরুরি যোগাযোগের জন্য কেন্দ্র সচিব ক্যামেরাবিহীন একটি মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
এমন কড়া বিধি নিষেধের পরেও কীভাবে মোবাইলে ছবি ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হলো সে বিষয়ে বিব্রত শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাব কমিটি ও চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক জানান, ‘কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ১ ঘণ্টা পরে বের হয়ে এ কাজটি করে থাকতে পারে। ’
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, হয়তো কোনো পরীক্ষার্থী ১ ঘণ্টা কেন্দ্রে ছিল, পরীক্ষা দিয়েছে, বের হয়ে এসে সেই প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে।’
তবুও এ ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজই হয়তো আমরা একটা নির্দেশনা দিতে পারি যে, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় ১ ঘণ্টা অংশগ্রহণ করে যদি বের হয়ে যেতে চায় তাহলে সেই পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন সঙ্গে করে নিয়ে যেতে দেয়া হবেনা।’
তবে এ বিষয়টি ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস অথবা পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্ন ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে এমন খবর আসেনি বলে জানান জিয়াউল হক।
এবার যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে কোনোভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি করেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।