Logo
Logo
×

জাতীয়

তুরাগ নদী রক্ষা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রোববার

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৯ এএম

তুরাগ নদী রক্ষা নিয়ে হাইকোর্টের রায় রোববার

ফাইল ছবি

তুরাগ নদী রক্ষাসংক্রান্ত রিটের রায় ঘোষণার জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার হাইকোর্টের এ বেঞ্চ তুরাগ নদীকে ‘লিগ্যাল পারসন’ বলে ঘোষণা করেন। যা দেশের সব নদ-নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়। উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তেরর মধ্য দিয়ে দেশের নদ-নদীর কিছু আইনি অধিকার স্বীকৃত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

এরও আগে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা এক রিটে তুরাগ নদীর অবৈধ দখলদারদের নাম ও স্থাপনার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিল বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি। ওই তদন্ত কমিটির দেয়া তালিকায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হন। পরে উভয়পক্ষের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার রায় ঘোষণা শুরু করেন।

বুধবার রায়ে হাইকোর্ট বলেন, অবৈধ দখলদারদের দ্বারা প্রতিনিয়তই দেশের কমবেশি নদী দখল হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদী। নাব্যতা ও বেদখলের হাত থেকে নদী রক্ষা করা না গেলে বাংলাদেশ তথা মানব জাতি সংকটে পড়তে বাধ্য। এসব বিষয় বিবেচনা করে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল বা জুরিসটিক পারসন হিসেবে ঘোষণা করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, মানব জাতি টিকে থাকার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নদী। বিভিন্ন দেশের সরকার আইন প্রণয়ন করে নদীকে বেদখলের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। ঢাকার আশপাশে বহমান চার নদী রক্ষায় ইতিমধ্যে আদালত নানা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে। 

কিন্তু সেসব রায়ের নির্দেশনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়নে বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তা নেয়া হলে তুরাগ নদী রক্ষায় হাইকোর্টে আরেকটি মামলা করার প্রয়োজন হতো না। শুধু যে তুরাগ নদী আক্রান্ত তা নয়, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ৪৫০টি নদী অবৈধ দখলদারদের দ্বারা আক্রান্ত।

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আমাদের দেশের নদ-নদীগুলো যাতে জীবন্ত ও প্রবাহমান থাকতে পারে তা নিশ্চিতে এ রায়ের মাধ্যমে একটি বার্তা দিতে যাচ্ছেন আদালত। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ  যেন নদী দখল কিংবা দূষণ করতে সাহস না করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম