ইস্কাটনে জোড়া খুন: এমপিপুত্র রনির মামলার রায় বুধবার

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৬ এএম

রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এদিন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম এ রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম রায় ঘোষণার জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলার রায় ঘোষণার জন্য তৃতীয়বারের মতো দিন ধার্য করা হয়।
এ মামলার একমাত্র আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি।
গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করেন আদালত।
ওইদিন রায় না দিয়ে ১৭ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য-জেরার জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম।
এ ছাড়া গত বছরের ৮ মে এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত মনে করছেন মামলাটির বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে।
ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার বিষয়ে অধিকতর যুক্ততর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত দেড়টায় রনি হোটেল সোনারগাঁও থেকে মায়ের পাজেরো গাড়িতে বাসায় ফিরছিলেন।
রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় তাকে বহনকারী গাড়িটি যানজটে আটকা পড়লে রনি ক্ষুব্ধ হয়ে জানালার গ্লাস খুলে হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়েন।
এতে আবদুল হাকিম নামে এক রিকশাচালক ও ইয়াকুব আলী নামে এক অটোরিকশাচালক আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছর ৩১ মে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে পিনু খানের বাসা থেকে তার ছেলে রনিকে আটক করে। এর পর থেকে জেলহাজতে বন্দি আছেন তিনি।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস।
খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও আসামি জানতেন যে তার গুলিতে কেউ হতাহত হতে পারে- এই যুক্তিতে হত্যার অভিযোগ এনে এ মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেন তিনি।