তাবলিগের দুপক্ষে সমঝোতা, ফেব্রুয়ারির যে কোনো সময় ইজতেমা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:০৬ পিএম
বিশ্ব ইজতেমা। ফাইল ছবি
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সমঝোতা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো সময় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাদের বিরোধ মীমাংসা হয়েছে, এখন আর কোনো বিরোধ নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে ইজতেমা হবে।
আগামীকাল ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুই পক্ষের দুইজন প্রতিনিধি বসে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় দুই পক্ষের মুরুব্বিদের কোলাকুলি ও কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।
বিরোধ মীমাংসায় সমন্বয়কারীর ভূমিকায় থাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে, একবারেই ইজতেমা হবে। তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মিটমাট হয়ে গেছে। এখন আর বিরোধ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দিল্লির মাওলানা সাদ এবার আর ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন না। বৈঠকে সেরকম সিদ্ধান্তই হয়েছে।
বৈঠকে মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদের পক্ষের তাবলিগ জামাত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপক্ষে নেতৃত্ব দেন ওয়াসিকুল ইসলাম ও মাওলানা জোবায়ের। উভয়পক্ষেই ১৬-১৭ জন করে সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ধর্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রধান বেনজির আহমেদ, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার ইজতেমার আয়োজন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক হয়।
তবে ওই বৈঠকে সাদপন্থী অনুসারীরা অংশ নিলেও সাদবিরোধী অংশের মুরব্বিরা যোগ দেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দুপক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে।
নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনুসারীরা ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর বিরোধিতা করে ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।
এ নিয়ে সারা বছরই উত্তেজনা থাকে। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।