Logo
Logo
×

জাতীয়

পাঁচ কোম্পানির বোতলজাত খাবার পানি মানহীন: বিএসটিআই

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪৮ পিএম

পাঁচ কোম্পানির বোতলজাত খাবার পানি মানহীন: বিএসটিআই

পাঁচ কোম্পানির বোতলজাত খাবার পানি মানহীন: বিএসটিআই। প্রতীকী ছবি

বাজারে বোতলজাত ১৫টি কোম্পানির খাবার পানি পরীক্ষা করে পাঁচটি কোম্পানির পানি মানহীন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। 

এ পাঁচ ব্র্যান্ড হলো-  ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার লিমিটেডের ‘ইয়ামি ইয়ামি’, সিনহা বাংলাদেশ  ট্রেডস লিমিটেডের ‘একুয়া মিনারেল’, ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড  বেভারেজের ‘সিএফবি’, ওরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ এবং শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিমিটেডের ‘সিনমিন’।

সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।  

রিট আবেদনকারী শাম্মী আক্তারের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ জানুয়ারি  থেকে ১৭ জানুয়ারি বিএসটিআই বাজার থেকে ২২টি নমুনা সংগ্রহ করে। তার মধ্যে ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে তারা প্রতিবেদন দিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জানাতে বলেছেন আদালত। বাকি ৭টি নমুনার প্রতিবেদনও আদালত দিতে বলেছে। 

এছাড়া প্রতি দুই সপ্তাহে একবার বাজার  থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইকে পরীক্ষা অব্যাহত রাখতে নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে।

জে আর খান রবিন বলেন, 'আদালত বাজারে থাকা বোতল ও জারের পানি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিল। সে অনুযায়ী বিএসটিআই ১৫টি বোতল ও জারের পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিয়েছে, যেখানে পাঁচটি ব্র্যান্ডের পানি মানহীন বা পান অনুপযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২২ মে  ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর আদালত বাজারে থাকা ‘অবৈধ-অনিরাপদ’ জার ও  বোতলের পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ  দেন।  

বিএসটিআই ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতের ওই আদেশের পর বিএসটিআই কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি  জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। 

এছাড়া প্লাস্টিক  বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে  চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। 

গত সোমবার বাজারে থাকা জার ও  বোতলের পানির গুণগতমান নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জানুয়ারি আদালত বিএসটিআইকে পানি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলে। সে অনুযায়ী বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন সোমবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের নির্দেশে বিএসটিআই নিজস্ব সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে বাজারে থাকা মানহীন, অবৈধ ৩ হাজার ৯৭৯টি পানির জার জব্দ ও ধ্বংস করে। মানহীন পানি অবৈধভাবে বাজারজাত করার কারণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৪টি মামলা করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Document
Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম