জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময়ে জিএম কাদের
আন্দোলনে আমাদের অবদান ষড়যন্ত্র করে মুছে ফেলা যাবে না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জাতীয় পার্টির অবদান ষড়যন্ত্র করে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছি। ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালন শুরু হয়। আমি ৩ জুলাই সংসদে শেখ হাসিনার সামনে বক্তৃতায় বলেছি... ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি। দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ৬ জুলাই গাজীপুরে জাতীয় পার্টির সম্মেলনে আমি বলেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক। কোটা পদ্ধতি স্বাধীনতাযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি। জাতীয় পার্টি যৌথসভা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সর্বোতভাবে সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করা হলো, আমরা তাদের মুক্তি দাবি করেছি। আমার নির্দেশে জাতীয় ছাত্র সমাজ ব্যানার নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে। রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আমাদের নেতাকর্মীরা মামলার আসামি হয়ে হাজতবাস করেছে। রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনরত ছাত্রদের আমি বীর মুক্তিসেনা হিসেবে অভিহিত করেছি। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবার আগে রংপুরে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারকে সান্তনা দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ৯ দফা ও সর্বশেষ এক দফায়ও আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। দেশের মানুষ জানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, গণমাধ্যমে এর প্রমাণ এখনো আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের অবদান ষড়যন্ত্র করে মুছে ফেলা যাবে না।
জিএম কাদের বলেন, তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। আবারও প্রমাণ হয়েছে, তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মতো ভেসে যায়। আমাদের সন্তানরা স্বৈরাচারের গুলির সামনে বুক পেতেছে অসীম সাহসে। ছাত্ররা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। এই তরুণ ও যুবকদের ভোটেই আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। তাই তরুণদের আকৃষ্ট করতে আগামীতে জাতীয় পার্টি নতুন ধারার রাজনীতি করবে।
জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোড়ল জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. আরিফুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, সম্পাদকমণ্ডলী মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক এমএ সুবহান, অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. সামছুল হুদা, রেজাউল করিম, একেএম নুরুজ্জামান জামান, মো. জাকির হোসেন খান, হুমায়ুন কবির শাওন, ওমর আলী মান্নাফ, মাহমুদুল হক মনি।
জাতীয় তরুণ পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সাদেকুর মিয়া, এনামুল হক, কামাল উদ্দিন স্মরণ, মাইনুদ্দিন মন্ডল, হালিম হাওলাদার, আমজাদ প্রধান, মনিরুজ্জামান হিরন, আবু ইউসুফ, আবু কাউসার, আরিফুল ইসলাম আরমান, মইনুদ্দিন খোকা, উজ্জল হোসেন, মামুন হোসেন, বেলাল আহমেদ, শ্রী উজ্জ্বল কুমার সাহা, কামাল পাশা, মো. দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল হাকিম, মো. নান্নু মিয়া, মো. ইউসুফ হাওলাদার, বেলাল আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইফুজ্জামান, মো. শেখর, কামাল হোসেন, মো. সোহাগ, মো. আক্তারুজ্জামান, মো. রুবেল হুসাইন।