মশিউর শুধুই আমার কর্মী ছিল না, সন্তানের মতো ছিল: সালমা ইসলাম এমপি
যুগান্তর প্রতিবেদন দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৫ এএম
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। ফাইল ছবি
সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, মশিউর আমার শুধুই কর্মী ছিল না। মশিউর আমার সন্তানের মতো ছিল। মশিউর এমন করে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। দোয়া করি, আল্লাহতায়ালা যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন।
রোববার দুপুরে দোহার উপজেলার শিলাকোঠা গ্রামে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর রহমানের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মশিউরের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালমা ইসলাম বলেন, তোমাদের পাশে আছি। যেকোনো প্রয়োজনে তোমাদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
সালমা ইসলাম এমপি আরও বলেন, মশিউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে জাতীয় পার্টি ও এলাকাবাসীর এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যা কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ হওয়ার নয়। তবে মশিউর এলাকার মানুষের জন্য যে কর্মকাণ্ড করে গেছেন তা যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে এবং বাঁচিয়ে রাখবে।
মশিউরের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কর্মীবান্ধব নেত্রী সালমা ইসলাম এমপি ঢাকা থেকে তাৎক্ষণিক দোহার উপজেলার শিলাকোঠায় মশিউর রহমানের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন। এ সময় মশিউরের স্বজনরা অভিভাবক সালমা ইসলাম এমপিকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় সালমা ইসলাম এমপিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ডা. আলা উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, কুসুম হাটি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মহিউদ্দিন মাতব্বর, সাধারণ সম্পাদক মিল্লাত হোসেন, রাইপাড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন বিলাশপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি জিন্নাত আলী, সুতার পাড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমায়ুন কবির, মুকসুদপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মান্নান, শোল্লা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মতিন মেম্বারসহ স্থানীয় নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিলাকোঠা মাদ্রাসা মাঠে বাদ মাগরিব মশিউর রহমানের জানাজা শেষে শিলাকোঠা কবরস্থানে দাফন করা হয়। মশিউর রহমান কয়েক দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সকালে ঢাকার বাসায় অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে মা, ৬ মাসের ছেলে সন্তান, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। মশিউর রহমান শিলাকোঠা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও শিলাকোঠা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কোনাবাড়ি কলেজের দাতা সদস্য ছিলেন।