
প্রিন্ট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৯ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
-67f919328830e.jpg)
আরও পড়ুন
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের অংশ নেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
সমাবেশে বৈশ্বিক জলবায়ু রক্ষায় রঙিন ব্যানার, পোস্টার হাতে দুই শতাধিক তরুণ ‘ভুয়া সমাধান নয়, নবায়নযোগ্য শক্তি চাই’- এমন নানা স্লোগান দেন।
বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে হলে জ্বালানি নীতিতে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বৈদেশিক ও বহুজাতিক বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাস্তবায়ন হলে ব্যয়বহুল ও দূষিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে। তাই এই পরিকল্পনা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সহায়তা নিশ্চিতের আহ্বানও জানান তারা।
জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট পালন করে আসছেন সারা বিশ্বের সচেতন মানুষ। মূলত এই ধর্মঘটের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বনেতাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ এ ধর্মঘটের মূল উদ্যোক্তা। ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে প্রতিবছর জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে আসছে তরুণদের সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল।