বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কৃষিতে লুটপাট, খামারবাড়ির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কৃষিতে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।ওই কর্মকর্তারা দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত করেছেন- এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার খামারবাড়ির সামনে দুর্নীতিবিরোধী নাগরিক ও ছাত্র-সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছে।এতে সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে জানানো হয়, সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে বদলি করা হয়। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পর গত বৃহস্পতিবার থেকে মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়ির গেটে তালা, বহিরাগতদের দিয়ে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। কৃষিতে অস্থিরতা তৈরির সঙ্গে জড়িত কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ ও রেজাউল ইসলাম মুকুলসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষিবিদরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর রেজাউল ইসলাম মুকুল, মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ এবং একেএম হাসিবুল হাসান নামে তিন কর্মকর্তা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বদলি-পদায়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন কৃষি মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার পর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করছে বিতর্কিত কর্মকর্তার সিন্ডেকেট।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে কৃষিবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কৃষকরা যেখানে সরকারি সহায়তার অপেক্ষায় থাকেন, সেখানে তাদের প্রাপ্য অধিকার লুটে নিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।সরকার যদি কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
আনিসুর রহমান নামে এক কৃষিবিদ বলেন, একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলির পর গত বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা করছেন। সড়ক অবরোধ করে রোজাদার মানুষ ও রোগীকে কষ্ট দিয়েছেন। আতঙ্ক তৈরি করে খামারবাড়িকে অচল করেছেন। অথচ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সেই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কৃষিতে এ রকম ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এবার শাস্তি না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে।