ন্যাশনাল ডাটা অথরিটি তৈরি হলে কারো চাকরি যাবে না: ফয়েজ আহমদ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

ফাইল ছবি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) নাগরিকের সব ধরনের ডাটা ব্যবস্থাপনায় আসছে ‘ন্যাশনাল ডাটা অথরিটি’। এজন্য প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ন্যাশনাল ডাটা অথরিটি তৈরি হলে কারো চাকরি যাবে না উল্লেখ করে এনিয়ে ভুল ধারণা যাতে তৈরি না হয়, সেই আশাও প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার বিকালে রাজধানীর আইসিটি ভবনে ‘এনআইডির ওনারশিপ’ শীর্ষক নামে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যভাণ্ডারে নাগরিকদের ৩৫ ধরনের বা তার বেশি তথ্য আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার ইমপ্লিমেন্টেশন করার জন্য ৩৫ ধরনের তথ্যের প্রয়োজন আছে কি? এ প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে এবং কারিগরিভাবে উপস্থাপন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি। আমরা বলছি না যে, নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে সেটাকে বন্ধ করে দেব। তার যে সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে সেটাকে আমরা নিয়ে নেব? আমরা যেটা বলছি, ডাটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে, যার কাছে যেটা আছে সেটা আপাতত সেখানেই থাকবে। একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার, তখন একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যে যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে কয়েকটা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যেন এনআইডি সার্ভার নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া না হয়। আমরা বলতে চাচ্ছি যে, এখন নির্বাচন কমিশন যে ডাটাবেজ মেনটেইন করে, তারা সেটাই মেনটেইন করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদেরকে একটি স্বাধীন ডাটা অথরিটির দিকে যেতে হবে।
এ বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি যে সংস্থাগুলো আছে, সে সংস্থাগুলোকে আশ্বাস দিতে চাচ্ছি যে, ডাটা অথরিটি তৈরির বিষয়টি একটি ধারণার মধ্যে আছে। এ ধারণাটা বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ডকে কমপ্লিমেন্ট করে। এই ধারণাটা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের যাত্রা শুরু করলাম। এ ধারণার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যে আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার রয়েছে, সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে না। তাদের কারো চাকরি যাবে না, কোনো ক্ষতি হবে না। বরং প্রত্যেকটা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যে ডাটা প্রাপ্তির অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই সবাই এই বৈশ্বিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে নিক এবং এখানে যাতে কোনো ধরনের মিস কনসেপসন তৈরি না হয়।